Daffodil Computers Ltd.

General Category => Law of Bangladesh => Topic started by: bbasujon on January 19, 2012, 07:38:25 AM

Title: জিডি করার নিয়মাবলী/কেন জিডি করবেন :by online
Post by: bbasujon on January 19, 2012, 07:38:25 AM
কেন জিডি করবেন :

মূল্যবান যে কোন জিনিস হারালে যেমন- সার্টিফিকেট, দলিল, লাইসেন্স, পাসপোর্ট, মূল্যবান রশিদ, চেকবই, এটিএম বা ক্রেডিট স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ইত্যাদি। অথবা কোন প্রকার হুমকি পেলে বা হুমকির আশংকা থাকলে কিংবা কেউ নিখোঁজ হলেও জিডি করার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ সাধারণত যেসব ক্ষেত্রে মামলা হয়না সেসব ক্ষেত্রেই থানায় জিডি করা যায়। জিডি করার কোন বাধ্যবাধকতা না থাকলেও নতুন করে হারানো কাগজ তুলতে হলেও জিডির কপির প্রয়োজন হয়।

জিডির নমুনা

তারিখঃ ..................

বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
....................থানা, ঢাকা।

বিষয় : সাধারণ ডায়েরী করার আবেদন।

জনাব,

আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নাম: .......................................
বয়স : ...............................................................
পিতা/স্বামী : ........................................................
ঠিকানা : .............................................................

এই মর্মে জানাচ্ছি যে আজ/গত .......................... তারিখ ................ সময় ................জায়গা থেকে  আমার নিম্নবর্ণিত কাগজ/মালামাল হারিয়ে গেছে।

বর্ণনা : (যা হারিয়েছে)

বিষয়টি থানায় অবগতির জন্য সাধারণ ডায়েরীভুক্ত করার অনুরোধ করছি।


নিবেদক,


(আবেদনকরারীর স্বাক্ষর)
পুরো নাম :
ঠিকানা :
ফোন নম্বর :
Title: Re: জিডি করার নিয়মাবলী/কেন জিডি করবেন :by online
Post by: bbasujon on January 19, 2012, 07:41:07 AM
download this file
Title: Re: জিডি করার নিয়মাবলী/কেন জিডি করবেন :by online
Post by: bbasujon on January 19, 2012, 07:42:54 AM
নানা কারণেই থানায় জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করার দরকার হতে পারে। অনেকের ধারণা, জিডি শুধু কেউ ভয়ভীতি বা হুমকি দিলেই করতে হয়। আসলে তা নয়। যেকোনো ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রেই প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো ব্যক্তি থানায় জিডি করতে পারেন। কিন্তু জিডি করা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। মনে রাখতে হবে, জিডি করা মানে কোনো মামলা নয়।

কিছুদিন আগে বাবুল সাহেবের মুঠোফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে চরমপন্থী দলের নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। প্রথম দিকে তিনি বিষয়টি পাত্তা না দিলেও পরে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাত্রা বাড়তে থাকায় তিনি ভীত হয়ে পড়েন। সবশেষে তাঁকে জানানো হয়, সময়মতো টাকা না দেওয়া হলে তাঁর স্কুলগামী সন্তানকে অপহরণ করা হবে। জামাল সাহেব শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না দেখে থানায় বিষয়টি অবহিত করলে থানার কর্মকর্তা তাঁকে জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেন এবং আশ্বাস দেন, যেকোনো বিপদে পুলিশ তাঁকে সহায়তা করবে। এ রকম নানা কারণেই আপনাকে থানায় জিডি করার দরকার হতে পারে। অনেকের ধারণা, জিডি শুধু কেউ ভয়ভীতি বা হুমকি দিলেই করতে হয়, আসলে তা নয়। যেকোনো ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রেই প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো ব্যক্তি থানায় জিডি করতে পারেন। জিডি যদিও বহুল পরিচিত শব্দ, কিন্তু অনেকেরই বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই। জিডি হলো জেনারেল ডায়েরি বা অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কাজনিত সাধারণ বিবরণ, অর্থাৎ আপনি যে বিষয়টি থানায় অবহিত করতে চান এবং যে বিষয়ের আইনি সহায়তা পেতে চান, সে বিষয়ের সাধারণ বিবরণ, যা দরখাস্ত আকারে থানায় জমা দিতে হয়। জিডি কোনো অপরাধ সংঘটনের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তাকারী সংস্থার সাহায্য পাওয়ার জন্য প্রথম পদক্ষেপ। এটিকে প্রতিরোধ ব্যবস্থাও বলা যেতে পারে। কেননা, অপরাধ সংঘটনকারী এ থেকে সতর্ক হয়ে অপরাধ করা থেকে বিরত থাকতে পারে। এ ছাড়া এটি আপনার পক্ষে দলিলগত সাক্ষ্য, যা পরে আদালতে মামলার কাজে লাগতে পারে।

যে কারণে জিডি করবেন
সাধারণত মানুষ বিভিন্ন কারণে বিশেষত, কারও দ্বারা ভীতিপ্রাপ্ত হলে, নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে থানায় জিডি করে থাকে। কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকলে, কোনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন-পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সনদ, দলিল প্রভৃতি হারিয়ে গেলে, কেউ কারও সম্পদের ক্ষতি করলে, প্রাণনাশের হুমকি দিলে অথবা বাসার কেউ হারিয়ে বা পালিয়ে গেলে প্রভৃতি কারণে জিডি করা জরুরি।
কেননা, সন্দেহভাজন কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় বা হারানো কিছুর জন্য জিডি করা হলে ওই ঘটনা ঘটার পর দোষী ব্যক্তি শনাক্তকরণে বা হারানো জিনিস খুঁজে পেতে এবং আইনি সহায়তা নিতে জিডির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

কোথায় ও কীভাবে জিডি করবেন
কোথায় জিডি করতে হবে, এ নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান। জিডি করার ক্ষেত্রে সাধারণত ঘটনাস্থলকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ, যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, সে এলাকার থানাতেই জিডি করা উচিত। আপনি নিজের এলাকার থানাকে প্রাধান্য দিতে পারেন, তবে আপনার ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এক থানায় আর জিডি করবেন অন্য থানায়, এমনটি হওয়া উচিত নয়। কেননা, এতে আইনি সহায়তা নিতে আপনারই ঝামেলা হবে। তাই যে এলাকায় আপনার জিনিস হারিয়েছে বা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, সে এলাকার সংশ্লিষ্ট থানাতেই জিডি করুন। জিডি করতে হয় দরখাস্ত আকারে। মনে রাখবেন, এই দরখাস্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) বরাবর। নিচে থাকবে থানার নাম। বিষয় হিসেবে উল্লেখ করতে হবে আপনি যে ব্যাপারে জিডি করতে চান, এর নাম (যেমন হারানো ব্যাপারে লিখতে পারেন: হারানো সংবাদ সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন)। বিবরণ অংশে আপনাকে বিস্তারিত লিখতে হবে। অবশ্যই আপনাকে আশঙ্কার কারণ, যার জন্য আশঙ্কা করা হচ্ছে বা যে হুমকি দিয়েছে, তার নাম, ঠিকানা, হুমকির স্থান, তারিখ উল্লেখ করতে হবে। কিছু হারিয়ে গেলে তার বিস্তারিত বিবরণ এবং পারলে তার কোনো নমুনা দরখাস্তের সঙ্গে সংযুক্ত করবেন। তবে মনে রাখতে হবে, জিডিতে এমন কিছু দেওয়া যাবে না, যাতে কোনো মামলার জন্য এজাহার হিসেবে গণ্য হয়ে যায়। সবশেষে নিচে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর লিখে দেবেন। তবে এই ডিজিটাল যুগে আপনাকে দরখাস্ত লেখার, থানায় যাওয়ার ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হবে না। ইচ্ছা করলে আপনি ঘরে বসেই অনলাইন-সুবিধার মাধ্যমে জিডি করতে পারেন। ঢাকা মহানগর পুুলিশ নগরবাসীর জন্য জিডি-প্রক্রিয়া সহজ করতেই অনলাইন-সুবিধা চালু করেছে। ঢাকার যেকোনো নাগরিককে এ সুবিধা পাওয়ার জন্য www.dmp.gov.bd-এর ওয়েবসাইটে ভিজিট করে ‘সিটিজেন হেল্প রিকোয়েস্ট’ সুবিধায় গিয়ে জিডি করতে হবে। এরপর একটি ফরম আসবে। এখানে জিডি-সংক্রান্ত তথ্যাবলি পূরণ করতে হবে। জরুরি নয় বা তাৎক্ষণিক সাড়ার প্রয়োজন নেই—এমন সব বিষয়ে প্রবাসীরাও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকার প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এ ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ bangladesh@police.gov.bd এই ঠিকানায় যেকোনো অভিযোগ পাঠাতে পারেন। অনলাইনে জিডি-সংক্রান্ত কাজ শেষ হলে পুলিশ একটি জিডি নম্বর পাঠাবে, যা সংরক্ষণ করতে হবে। পরে যেকোনো কাজে এই নম্বর ব্যবহার করলেই চলবে। আপনি ইচ্ছা করলে সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে জিডি নম্বরসহ একটি প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারেন।

জানা জরুরি
মনে রাখবেন, থানায় গিয়ে জিডি করলে আপনাকে দুটি কপি করতে হবে। যেকোনো পরামর্শের জন্য সার্ভিস ডেলিভারি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনি যদি লিখতে না পারেন, তবে তাঁকে লিখে দিতে অনুরোধ করুন এবং এ জন্য কোনো টাকাপয়সা দিতে হবে না। আবেদনের দ্বিতীয় কপিতে জিডি নম্বর, তারিখ এবং অফিসারের স্বাক্ষর ও সিল লাগিয়ে আপনাকে দেওয়া হবে এবং জিডিটি নথিভুক্ত হবে। কপিটি আপনি নিজের জন্য সংরক্ষণ করবেন। জিডি হওয়ার পর তা কর্তব্যরত কর্মকর্তা থানার ওসির কাছে পাঠাবেন। জিডিটি যদি আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে হয়, তবে থানা কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমলে নিয়ে অপরাধটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেবে এবং গৃহীত ব্যবস্থা পুনরায় আবেদনকারীকে অবহিত করা হবে।

শেষ কথা
ব্যক্তিগতভাবে কোনো সমস্যার সমাধান না করা গেলে আইনি সহায়তার প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত ধারণার অভাবে অনেকেই জিডি করতে থানায় যেতে চান না বা সাহস পান না। অথচ এটি একটি সহজ বিষয়। তাই প্রত্যেক নাগরিক যেন এ সুবিধা ভোগ করতে পারেন, সে জন্য জনসাধারণের মধ্যে যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
Title: Re: জিডি করার নিয়মাবলী/কেন জিডি করবেন :by online
Post by: bbasujon on January 19, 2012, 07:43:17 AM
ঘরে বসে অনলাইনে রাজধানীর সব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরিষেবা আজ শনিবার থেকে চালু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে খুব জরুরি নয় এবং তাত্ক্ষণিক পুলিশি সহায়তার প্রয়োজন নেই, অনলাইনে এমন জিডি করার অনুরোধ করেছে পুলিশ।
অনলাইনে জিডি নেওয়া এবং দাপ্তরিক ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের শেখাতে গতকাল শুক্রবার ডিএমপির পক্ষ থেকে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় মহানগর পুলিশের সব উপকমিশনার, অতিরিক্ত উপকমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও অপস অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় নতুন পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ডিএমপি কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ‘ও পুলিশ, ও বন্ধু আমার’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর থানাগুলোতে এ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। দুই মাস আগে পরীক্ষামূলকভাবে উত্তরা থানায় এ ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। তাঁরা জানান, প্রথম পর্যায়ে অনলাইনে সাত ধরনের জিডি নেওয়া হবে। এগুলো হলো: পাসপোর্ট, সনদপত্র, পরিচয়পত্র, চেকবই বা গুরুত্বপূর্ণ দলিল হারানো; বখাটে, মাদকসেবী বা অপরাধীদের আড্ডাসংক্রান্ত তথ্য; ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তি যখন নিরাপদ স্থানে অবস্থান করবেন; জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে এমন অবৈধ সমাবেশ; গৃহকর্মী, দারোয়ান, নৈশপ্রহরী নিয়োগ বা পালিয়ে যাওয়া; নতুন বা পুরোনো ভাড়াটেসংক্রান্ত তথ্য এবং প্রবাসীদের সমস্যাসংক্রান্ত অভিযোগ। তবে এসব ক্ষেত্রে তাত্ক্ষণিক পুলিশি সহায়তার প্রয়োজন হলে ফোনে অথবা সরাসরি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
যেভাবে জিডি করতে হবে: অনলাইনে জিডি করতে হলে প্রথমে ডিএমপির দাপ্তরিক ওয়েবসাইট www.dmp.gov.bd-তে যেতে হবে। সেখানে citizens help request নামের লিঙ্কে ক্লিক করলেই জিডির ফরম পাওয়া যাবে। ওই ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে সাবমিট লেখাতে ক্লিক করতে হবে। এর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি নম্বর দেওয়া হবে। এ নম্বরটি সংরক্ষণ করতে হবে। জিডি পাওয়ার পর পুলিশ এ ব্যাপারে নেওয়া আইনগত পদক্ষেপ সম্পর্কে আবেদনকারীকে জানাবে। কেউ জিডির রিসিভ কপি নিতে চাইলে তাঁকে থানায় গিয়ে তা নিতে হবে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বাংলা ও ইংরেজি—দুই ভাষাতেই অনলাইনে জিডি করা যাবে।
অনলাইনে জিডি সম্পর্কে মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রথম দিকে এ ব্যবস্থা চালু করতে গিয়ে কিছু ত্রুটি হতে পারে। ধীরে ধীরে এসব সমস্যার সমাধান করা যাবে।